scrall

আপনাকে স্বাগতম আমার ব্লগ সাইটে

আমার সব গুলো কবিতা এখানেই পাবেন..................আমার সব গুলো কবিতা এখানেই পাবেন

Monday, August 10, 2020

হৃদয়ের ঋণ

 



 হেলাল হাফিজ

আমার জীবন ভালোবাসাহীন গেলে
কলঙ্ক হবে কলঙ্ক হবে তোর,
খুব সামান্য হৃদয়ের ঋণ পেলে
বেদনাকে নিয়ে সচ্ছলতার ঘর

বাঁধবো নিমেষে। শর্তবিহীন হাত
গচ্ছিত রেখে লাজুক দু’হাতে আমি
কাটাবো উজাড় যুগলবন্দী হাত
অযুত স্বপ্নে। শুনেছি জীবন দামী,

একবার আসে, তাকে ভালোবেসে যদি
অমার্জনীয় অপরাধ হয় হোক,
ইতিহাস দেবে অমরতা নিরবধি
আয় মেয়ে গড়ি চারু আনন্দলোক।

দেখবো দেখাবো পরস্পরকে খুলে
যতো সুখ আর দুঃখের সব দাগ,
আয় না পাষাণী একবার পথ ভুলে
পরীক্ষা হোক কার কতো অনুরাগ।

Friday, August 7, 2020

মহামারী শেষে তোমার প্রেমে পড়বো

 



অপেক্ষার প্রহর গুনি একদিন সুস্থ হবে ধরণী
আবার তোমার প্রেমে পড়বো নতুন করে
ক্লান্ত দুপুরের তপ্ত রোদে বসে
আমরা খুনটুসি করবো খোলা প্রান্তরে।

অপেক্ষা কর ক’দিন পরেই শেষ বিকেলে হাতটি ধরে
হারিয়ে যাবো কোন এক মেঠোপথে
দুধারে ধানক্ষেত আর রাখাল গরুর সাথে।

আবার তোমার প্রেমে পরবো নতুন করে
পরন্ত বিকেলে ছোট নদীর তীরে
কাশফুলের রাজ্যে হারিয়ে যাবো
সাদা সাদা ফুলে মনের যত রঙ নিয়ে।

গল্প করবো ফেলে আসা দিন গুলোর মতো
পাশে পরে থাকবে বাদামের ঠোঙ্গা
অথবা দুটো খালি চায়ের কাপ।

নির্বাক দৃষ্টি মেলে পাশাপাশি বসে পাখিদের
ঘরে ফেরার সন্ধ্যা দেখবো তোমার সাথে
আবার তোমার প্রেমে পড়বো ধরণী সুস্থ হলে।

ভালবাসব চিরকাল

শফিক তপন

যাকে আমার ভাললাগে সে তো আমার, 
সে আমার চির জনমের অন্তর আত্তার 
ভালবাসা বাসিতে যেন নাই তুলনা তার, 
যেন এক মোহনীয় প্রেমময় প্রীতির সম্ভার 

যাকে  মন চায় তাকেইতো ভালবাসব,
প্রেমে পড়ব কাছে ডাকব কাছে আসব 
একই বন্ধনে আবদ্ধ হব সুখে এবং দুখে,
ভালবেসে আজীবন পাশে রব হাসিমুখে 

সম্পর্ক না হলে দুইজনই দূরে সরে যায়, 
হয়ত কাছে আসার থাকেনা কোন উপায় 
বিরহ বেদনায় বুকটা ভেসে যায় কান্নায়,
কখনও নীরবে ঘুমের ঘোরে স্বপ্নে হারায় 
ভালবেসে সবাইতো সদা সুখি হতে চায়,
কেউ প্রিয়জনকে কাছে পায় কেউ না পায় 
তোমার স্মৃতি সব যেন অদৃশ্য মায়াজাল, 
ভুলতে পারিনা তাই ভালবাসব চিরকাল 

স্বপ্নে সেদিন তুমি এসেছিলে

 


স্বপ্নে সেদিন তুমি এসেছিলে
___জাহিদ আরেফিন
স্বপ্নে সেদিন তুমি এসেছিলে!
যে ঘরে বাতি জ্বলেনি কোনকালে,
তোমার চোখের তারায় আমার অস্তিত্ব জ্বলেছে নিদারুণ।
কোথায় ছিলে?
যখন জীবন ছিলো নিলামে আমার,-মরুভুমির তপ্ত বালুচরে,
তৃষ্ণার্ত ছিলো আমার চোখদুটি,
রক্তজমাট কলিজায় আমি বিদীর্ণ ছিলাম।
কতদিন হাত হতে আমার ঝরেছে ফুল,
কতদিন বিষাক্ত মনের আঁচড়ে ছুটেছি দিকবেদিক,
কতদিন ল্যাম্পপোস্ট ধরে নির্ঘুম দাড়িয়ে থেকে
আমার মূল্যহীন প্রাণের রুপ এঁকেছি,
– তবুও ভোর আসেনি।
কোনো মায়াবী চোখের করুণালাভ ঘটেনি!

আজ কি দৈব্যদান?
ছেড়া পাপড়ী কুড়িয়ে প্রতিদানে কে তুমি ধরেছো হাত!
-তবুও রাত্রীশেষে দেখেছি কোন মলিন রৌদ্র, ঘিরে আছে আমার জীর্ণ কুটির,
কে তুমি?
পৃথিবীর মানুষগুলি বড় ব্যস্থ,-পথে পড়ে থাকা কোন মৃত্যপ্রাণ কুড়িয়ে সময় নেই তাতে মায়া মাখা।
য্বতনে তার চুপসানো শিরায় রক্ত চালনার সময় নেই কারো।
বাস্তব ও স্বপ্ন যদি এক হতো,
যে মানুষী শিহরে জেগে আমার বেঁচে থাকার আরাধনায়
নির্ঘুম রাত্রি কাটায়,
কেন দিনের আলোয় কোন বাস্তবতায় কেউ নেই?
কল্পনায় কত মুখ আঁকি,
-ঘর গড়ি, ধূসরতায় রং মেখে আনি রঙিন বিকেল
-কই, বাস্তবে কোন মায়া আমার চোখে মাখে না।
শুধু কল্পনা, শুধু স্বপ্ন,
বাস্তবে নেই কেন কোনো জোনাকমেলা?
হাত ধরে কেউ রাতের আকাশে ভাসে না পাশে থাকবে বলে আজন্ম,
বড় স্বার্থপর,-বাতাসে বড় বিষাক্তগন্ধ,
মনে কেন বিষাক্ততা?

তোমায় রেখেছি এ অন্তরে

 

 

তোমায় রেখেছি এ অন্তরে / শফিক তপন

তোমায় রেখেছি সযতনে আমার  অন্তরে
কোনদিনই বেড় করবনা একটু খানির তরে 
আজীন আমার অন্তরেই হবে তোমার ঘর, 
সুখে দুখে হাসি  কান্নায় থাকবে জনমভর 

ফুলের কানে যেমন ভ্রমর চুপিচুপি গান গায়,
তেমন করে গাইব গান দুই চোখের ইশারায় 
বলব সব কথা তোমার সনে যখন ইচ্ছা হয়,
ফুটবে ফুল ছুটবে সুবাস মোর  অন্তরময় 

তোমার কন্ঠে পরাব যখনই প্রেমের মনিহার, 
তখন ভালবাসাবাসিতে হয়ে যাবে একাকার 
অন্তরের এঘরে থাকবে তুমি সারাটা জীবন
রাতে দুপুরে  প্রাতে রাঙাবে আমার  মন 

তুমিতো আমার ধ্যান জ্ঞান শয়ন  স্বপন,
সে কথা জানবে শুধু আকাশ কিংবা পবন 
মোর অন্তর তুমি ছাড়া কেউ আর খুঁজবেনা,
আমি ছাড়াযে তোমায় আর কেউ বুঝবেনা 

আমার খুব ইচ্ছে করে

 


আমার খুব ইচ্ছে করে, “কেউ একজন আমাকে কবি বলে ডাকুক”,
যদিও সত্যি বলতে আমি কোন কবি নই,
তবুও খুব ইচ্ছে করে কেউ একজন আমাকে ইচ্ছুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে প্রশ্ন করুক, “কবি, আমাকে নিয়ে একটা কবিতা লিখবেন…?
জানেন, আপনার কবিতা হতেই কেবল আমি কপালে কালো টিপ পড়েছি, এইযে দেখছেন হাত ‍দু’টোয় মেহেদি পড়েছি তাও কেবল আপনার কবিতায় উপমা হবার জন্য।”
তারপর তার শাড়ির আঁচল দেখিয়ে প্রশ্ন করুক, “কবি, আমার শাড়ির ভাজগুলো আপনার কবিতায় তুলে ধরবেন…?”
আমাকে কথা বলার সুযোগ না দিয়েই সে আরও বলুক,
“জানেন কবি, আমি শাড়ি পড়তে জানিনা তবুও কেবল আপনি কবিতা লিখবেন ভেবেই শাড়িটা পড়েছি।”
.
কেউ একজন আমাকে তার চুলের খোঁপা দেখিয়ে একটু সরল কণ্ঠে বলুক,
”আমি জানি আমার চুল বিশেষ কিছু নয়, তবুও আপনার কবিতার অংশ করবেন এই আশায় ত্রিশ মিনিট ধরে খোঁপা সাজিয়েছি, দেখেন একটা গোলাপও গেঁথেছি।”
সে আরও বলুক, “খোঁপা চুল নিয়ে বোধহয় ভালো কবিতা হয়না!, আচ্ছা খোঁপা খুলে ফেললাম”
এই বলে সে তার চুলগুলো এলিয়ে দিয়ে প্রশ্ন করুক, “কবি, এবার হবে কি…?”
.
আমার খুব ইচ্ছে করে কেউ একজন আমার পাশে এসে বসুক কেবল একটা কবিতার আশায়,
আমার হাত ধরে সে একটু মৃদু হেসে বলুক, “কবি, আমি হাসতে জানিনা, তুবও এইতো হাসলাম শুধুমাত্র কবিতার জন্য।”
তারপর সে আরও বেশি কাছে এসে ভাসা ভাসা সাদা কালো চোখে তাকিয়ে কাঁপা কাঁপা স্বরে বলুক,
“আমার চোখে কাজল খুব বেমানান সে আমি জানি, তবুও কাজল পড়েছি আপনার কবিতায় উপমা হবো বলে।”
সে তার হাতের আঠাশটা কাচের চুড়ি আমাকে ধরতে দিয়ে বলুক, “সবগুলো চুড়ি কেবল আপনার কবিতার পঙক্তির জন্য পড়া।”
তার অমলিন হালকা লালচে ঠোঁট জোড়া সম্মুখে এনে ভয়ে ভয়ে বলুক, “আমার ঠোঁট দু’টো নিয়ে কেবল একটা শব্দ লিখলেই হবে।”
.
আমি জানি, সত্যি বলতে আমি কোন কবি নই, তবুও চাই কেউ একজন আমাকে এভাবেই বলুক,
“কবি, কেবল আপনার কবিতা হয়ে শুধু আমিই থাকতে চাই, আমাকে করবেন আপনার কবিতা…?”
তখন আমি তার পায়ের আলতা ছুঁয়ে বলবো, “কবিতার জন্যতো তোমার পা’দুটোই সার্থক উপমা, আমি ঠিক তোমাকেই লিখবো আমার সমস্ত কাব্য জুড়ে।”
সে ভেজা ভেজা চোখ তুলে বলুক, “জানেন, আলতাও পড়েছিলাম কেবল কবিতার জন্য তবে ইচ্ছে করেই বলিনি যদি ভুল…”
কথা শেষ না হতেই তার লাজুক ঠোঁটে আঙুল চেপে বলবো “না বলাটাই ভুল হয়েছে, এমন যেন আর না হয় কোনদিন, চোখের কাজল মুছোনা জলে।”

বৃষ্টি ভেজা রাতে



                                            সাইকান
যদি কোন বৃষ্টি ভেজা রাতে
 বারান্দায় বসে বজ্রপাতের চিৎকার দেখে
 চায়ের কাপে ফু দিতাম
 এই নিঝুম রাতে।

আকাশটা যে কাদঁছে যে খুব
 নদীতে আজ নীরব যে কুব
 পড়েছে পানি উষ্ণ চুলে ভিজছে বেলকনি
 গালগুলো আজ টিপেই দিব,আমার সোনামণি।

পাখিরা সব ফিরলো নীড়ে
 নতুন বধূ অন্তর-পুরে।
 ডুবলো তরী,ভাঙ্গলো কুড়ি
 ভিজলো বরের দল
 আর তোমায় আমি ভিজিয়ে দিবো
 শাড়ির আঁচল ।

তড়িৎ যে আজ ভয়ে লগন
 ঠোঁটে কাপে তোমার চুম্বন
 কাথা দিয়ে তোমায় বেষ্টন
 হাতে হাতে রাখবো বাধন।

টিনের চালে বৃষ্টির ধ্বনি
 আমার রাজ্যে তুমি রানি
 লাল সিদুঁড়ে তোোমায় লাগছে সতী
 স্নান করবো তোমার রুপে
 ফুলসজ্জায় এই আকুতি।

এভাবে যে ফুল ফুটাবো
 মনে হবে রাত্রীহীন
 তোমায় স্পন্দন পেয়ে আমি হবো নিদ্রাহীন।
 কেমনে নিবাই বধূ তোমার বুকের আগুন
 তোমায় নিয়ে হানিমুনে যাব এই সামনেই ফাগুন।

যদি সে বৃষ্টি ভেজা রাত কোন একবার আসে
 ডেকো আমায় পাশে
 আমি তোমার ঘুম পাড়িয়ে দিব
 কবিতায় হেসে হেসে।

হৃদয়ের ঋণ

   হেলাল হাফিজ আমার জীবন ভালোবাসাহীন গেলে কলঙ্ক হবে কলঙ্ক হবে তোর, খুব সামান্য হৃদয়ের ঋণ পেলে বেদনাকে নিয়ে সচ্ছলতার ঘর বাঁধবো নিমেষে। শর্ত...